পাথরঘাটায় বিলুপ্তপ্রায় বাইম মাছের হঠাৎ আগমন, ২ লাখ টাকায় বিক্রি
| ফাইল ছবি
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটায় বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে বিলুপ্ত প্রজাতির বাইম মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন এফবি আল্লাহ ভরসা নামের একটি ট্রলার। শনিবার দুপুর ২টার দিকে বিএফডিসি ঘাটে এ মাছগুলো বিক্রির করতে দেখা যায়। এ বাইনমাছ গুলো প্রতিমন ২৪ হাজার টাকা দরে ৯ মন মাছ ২ লাখ ১৬ হাজার টাকায় ক্রয় করেন মৎস্য পাইকার জাকির হোসেন।
জানা গেছে, গত দশ দিন আগে পাথরঘাটার বাচ্চু গাজির মালিকানাধীন এফবি আল্লাহ ভরসা ট্রলারটি বাজার সওদাকরে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে মাছ শিকার যান। সেখানে বরশি দিয়ে গত ১০ দিনে ৯ মন কাল বাইন মাছ ধরেন তারা।
ট্রলারের মাঝি বাবুল মিয়া জানান, ৮ থেকে ১০ জন জেলেকে নিয়ে মাছ শিকার করতে যান তিনিসহ তার জেলেরা। সেখানে বড়শি পেতে অপেক্ষা করার পর বাইন মাছগুলো তাদের বড়শিতে ধরা পড়ে। অন্য মাছের চেয়ে এই বাইন মাছের দাম একটু বেশি হয় খুশি তারা।
পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটের পাইকার জাকির হোসেন মাছগুলো ক্রয় করেছেন। পাইকার জাকির হোসেনের ম্যানেজার মো. রাসেল বলেন, ‘এফবি আল্লাহ ভরসা ট্রলারের মালিক বাচ্চু গাজীর কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা দরে ৯ মন মাছ ক্রয় করেছি। পাথরঘাটায় এর চাহিদা না থাকলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা যে মাছগুলো ক্রয় করেছি ধারণা করছি আরো বেশি দাম এগুলো বিক্রি করতে পারব।’
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘এই মাছগুলো এক সময় বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে অহরহ দেখা যেতো এবং চাহিদাও ছিল অনেক। আস্তে আস্তে এই মাছগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শীতের শুরু থেকেই গভীর সমুদ্রে থেকে জেলেরা বাইন মাছগুলো শিকার করে নিয়ে আসতো। বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে কিছু অসাধু ট্রলার মালিক, জেলে এবং কাঠের তৈরি অবৈধ ট্রোলিং ট্রলার জড়িত রয়েছে। তারা সকল রকমের মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস করে থাকে। এই ধ্বংসের কারণে আজ মাছগুলো বিলুপ্তির পথে।’




Comments