পরশুরাম কলেজ রোডে রাস্তার মাঝে খুঁটি: প্রতিদিন দুর্ঘটনা, পল্লী বিদ্যুৎ নিশ্চুপ
ফেনীর পরশুরাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোডের চৌরাস্তা মোড়ে রাস্তার ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বৈদ্যুতিক পিলার এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই খুঁটির কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল, সিএনজি, ভ্যান—কোনো যানবাহনই রেহাই পাচ্ছে না।
পরশুরাম-ফেনী সড়ক প্রশস্তুতকরণের কারণে এই কলেজ রোড এখন বাজারে প্রবেশের প্রধান বিকল্প পথ। পাশেই রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বাজার। ফলে সকাল-সন্ধ্যা শত শত ছাত্রছাত্রী ও ক্রেতার ভিড়। কিন্তু রাস্তার মাঝে এই ‘মৃত্যু-খুঁটি’ সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই পরশুরাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির।
স্থানীয় দোকানি আবু তৈয়ব জানান, “বিশেষ করে রাতে বা টার্ন নেওয়ার সময় চালকরা খুঁটিটি দেখতে পান না। এখানে বহুবার মোটরসাইকেল-সিএনজি ধাক্কা খেয়ে চালক আহত হয়েছেন।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, “বারবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বলা হচ্ছে, কিন্তু কেউ কানে তোলে না। অফিস তো নাকের ডগায়, তবু কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।”
অনন্তপুরের বাসিন্দা জহির উদ্দিন মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিদ্যুৎ বিভাগ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর একটি, কিন্তু জনগণ যে সেবা পাওয়ার কথা তার ৩০ ভাগও পায় না। এই বিভাগ চোর আর দুর্নীতিবাজে ভর্তি। বিলের অনিয়মের শেষ নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা!”
সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবে রাস্তার মাঝে খুঁটি রেখে মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?
এ বিষয়ে পরশুরাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রকৌ.) সন্য কুমার ঘোষের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ছুটিতে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী এখন একটাই দাবি – দ্রুত এই মৃত্যু-খুঁটি সরিয়ে সড়কটিকে নিরাপদ করা হোক, নইলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা অনিবার্য।




Comments