রায়গঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে পরিবার-এলাকাবাসীর মানববন্ধন
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চর ফরিদপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ শেখ ওরফে খতিব হত্যা মামলার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় উপজেলার দাদপুর জিআর ডিগ্রি কলেজের সামনে এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী সমাজ ও নিহতের পরিবারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৯ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ১২ নভেম্বর ফুলজোড় নদীতে ইট বাঁধা অবস্থায় খতিবের মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ছয় দিনের তদন্তে পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, আর্থিক লেনদেন এবং প্রতারণার চক্রের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে বক্তাদের দাবি—ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সব অপরাধীকে চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে সাধারণ মানুষ নিরাপদ থাকবে না।” তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের দাবি জানান।
নিহতের স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার স্বামী কারও ক্ষতি করেনি। টাকার লোভ আর অনৈতিক সম্পর্কের জেরে যারা তাকে হত্যা করেছে—তাদের ফাঁসি চাই।”
স্থানীয় কলেজ শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, “খতিব ছিলেন সৎ ও নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়ী। তার হত্যাকাণ্ড ব্যবসায়ী সমাজে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তদন্তে যদি আরও নাম উঠে আসে—তাদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।”
বক্তারা আরও বলেন,“এটি শুধু খুন নয়—এটি নৃশংস, পূর্বপরিকল্পিত ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড। অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক, যেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে না পারে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব।”
এ সময় বক্তারা দ্রুত চার্জশিট দাখিল, পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ও মামলার অগ্রগতি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানান।
পুলিশ জানায়, হত্যা মামলা এখনও তদন্তাধীন। তদন্তে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া গেলে অতিরিক্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




Comments