ফেনীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বুধবার এক নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গেছে। বার্ষিক পরীক্ষার হলে নেই কোনো সহকারী শিক্ষক, তাদের বদলে গার্ড দিচ্ছেন অভিভাবকরা। আর শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করতে বসে আছেন বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে বা বারান্দায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকরা ৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করায় চরম বিপাকে পড়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। বাধ্য হয়ে তারা অভিভাবকদের সহায়তায় প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বিলি করছেন। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বুঝতে না পারলেও হলে শিক্ষক না থাকায় নিজেদের মতো করে উত্তর লিখছে।
ফেনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বপ্না মজুমদার ও নাজমুল ইসলাম জানান, চাকরির শেষ পর্যায়ে এসেও পদোন্নতি না পাওয়া এবং বেতন গ্রেডে বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রতিবাদেই তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। ফেনীর ৫৫৯টি বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার ৪৫ জন শিক্ষক এই আন্দোলনে যুক্ত আছেন।
এদিকে অভিভাবক রাবেয়া সুলতানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাচ্চারা প্রশ্ন না বুঝলে বুঝিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। সবচেয়ে বড় শঙ্কা হলো, সহকারী শিক্ষকরা খাতা না দেখলে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে কীভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে?’




Comments