Image description

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা সদর থেকে জেলা সদরের সংযোগ সড়কের চকনুর বাজার এলাকায় সড়কের বড় একটি অংশ ধসে বিপজ্জনক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ, শিক্ষার্থী ও যানবাহনচালককে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি এমন বেহাল অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ধসে যাওয়া স্থানে প্রায় তিন ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। উপর থেকে বোঝা না গেলেও নিচে মাটি সরে গিয়ে বড় ফাঁকা জায়গার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বালুর বস্তা, ইট ও পাথর ফেলে সাময়িক সতর্কতা জারির চেষ্টা করা হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে রাতে আলো কম থাকায় এবং সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে গেলে গর্তটি চেনা কঠিন হয়ে পড়ে, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।

স্থানীয় দোকানদার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে মানুষ ভয় নিয়ে এই রাস্তা পার হচ্ছে। চালকরা সামান্য অসাবধান হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

আল-আমিন হোসেন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলগাড়িসহ শত শত যানবাহন চলে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখনো সংস্কার করা হলো না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

সড়কটির এমন দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী ভিপি আয়নুল হক। 

তিনি বলেন, ‘এই সড়কটি রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম। অথচ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনা না করে রাস্তাটি অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। এটা উন্নয়ন নয়, মানুষের সঙ্গে অবিচার। কোনো দুর্ঘটনা ঘটার অপেক্ষা না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে জরুরি মেরামত কাজ শুরু করতে হবে।’

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, ‘সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করা হয়েছে। মেরামতের নকশা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, খুব দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে।’

তিনি আরও জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত পুরো সড়কটি দুই লেনে উন্নীত করার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্থানীয়দের দাবি, সাময়িক মেরামত নয়, সড়কের নিচের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।