Image description

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন আগাম শিমের রঙিন উৎসব। গাছে লাল-হলুদ ফুলের দোলা, শিশিরভেজা পাতা আর কৃষকদের ব্যস্ততায় গ্রামাঞ্চল ভরে উঠেছে প্রাণচাঞ্চল্যে।

মাঠে গেলে দেখা যায়, কৃষকেরা সার প্রয়োগ করছেন, কীটনাশক স্প্রে করছেন এবং রোগ-বালাই পর্যবেক্ষণ করছেন। ব্যয় কিছুটা বাড়লেও ভালো ফলন দেখে তাদের চোখে-মুখে আশার ছাপ।

শিমচাষি সারজান আহমদ বলেন, “গাছে এত ফুল আর শিম ধরেছে যে মন ভরে যায়। আগাম শিম হওয়ায় ভালো দাম পাব বলে আশা করছি। সরকারি নির্ধারিত দামে সার ও কীটনাশক পাওয়ায় ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে। আল্লাহ চাইলে এবার লাভ হবে।”

এ বছর নিজ বাহাদুরপুর, দক্ষিণ শাহাবাজপুর, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ, বর্ণি ও তালিমপুর ইউনিয়নে ব্যাপক শিমচাষ হয়েছে। কৃষকদের মতে, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার গাছের বৃদ্ধি, ফুল ও ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। নিয়মিত পরিচর্যা, সময়মতো সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এ সুফল মিলছে।

শিম এখন গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে বড়লেখার আগাম শিম। অনেক পরিবার এ চাষের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

চ্যালেঞ্জ হিসেবে শ্রমিক মজুরি কিছুটা বেড়েছে। তবে সরকারি নিয়ন্ত্রিত দামে সার-কীটনাশক পাওয়ায় মোট ব্যয় আগের বছরের মতোই রয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে শিমচাষ আরও লাভজনক হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, “এ বছর প্রায় ২৬৭ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। দক্ষিণ শাহাবাজপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি। কৃষকদের উৎসাহ দিতে পাঁচজনকে প্রদর্শনী প্লটে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে তাৎক্ষণিক প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।”

বড়লেখার শিমক্ষেত কৃষকদের ঘামে গড়া সাফল্য ও দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রতীক।