Image description

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর গুলিবর্ষণ ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, ইনকিলাব মঞ্চ এবং জুলাই যোদ্ধারা।

শনিবার দুপুরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় প্রতিবাদী মিছিল বের হয়। পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পটুয়াখালী-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশি-বিদেশি শক্তি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই হামলা সেই ষড়যন্ত্রেরই প্রতিফলন।”

গাজীপুরে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনির নেতৃত্বে এবং মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মৌলভীবাজার-৪ আসনের প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর (হাজী মুজিব) নেতৃত্বে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়।

প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দেশের কয়েকটি স্থানে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা বকশীগঞ্জ-রৌমারী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখেন। এসময় তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন।

হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, ফেনীর পরশুরাম ও খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের রাজশাহীর চারঘাট, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, নীলফামারী, কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহের গৌরীপুরেও একই কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা (পাইকগাছা) ও চুয়াডাঙ্গাতেও স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে আসেন।

দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত এসব সমাবেশে বক্তারা বলেন, শরিফ ওসমান হাদি একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’ এবং এরশাদ উল্লাহ বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তাদের ওপর এই সশস্ত্র হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একটি অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এই পথ বেছে নিয়েছে।

বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় সারা দেশে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে বক্তারা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং গণতন্ত্রকামী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।