Image description

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন অডিটরিয়াম ভবনের পাইলিং কাজ থেকে উত্তোলিত বালু ও পানি ফেলে পাশের পিরতলা খাল ভরাট করা হচ্ছে-এমন অভিযোগ উঠেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা, চলাচলে দুর্ভোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারবাড়ি এলাকায় অডিটরিয়াম ভবনের পাইল বোরিংয়ের সময় প্রতিটি পাইল থেকে বের হওয়া ভূগর্ভস্থ বালু ও পানি সরাসরি সংলগ্ন পিরতলা খালে ফেলা হচ্ছে। ফলে খালের স্বাভাবিক পানি ধারণক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং দ্রুত ভরাট হচ্ছে। খালটি এলাকার পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ায় এভাবে ভরাট হলে আশপাশের বসতঘর ও বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার ঝুঁকি বাড়বে বলে তারা মনে করছেন।

জানা গেছে, বরিশালের মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে অডিটরিয়াম নির্মাণকাজ শুরু করে। কাজ শুরুর পর থেকেই পাইল বোরিংয়ের বালু ও পানি খালে ফেলার অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় পিরতলা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে একাধিকবার বাধা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও খালে বালু ও পানি না ফেলতে অনুরোধ জানান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, সাইট ইঞ্জিনিয়ার প্রথমে কাজ বন্ধ রেখে বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। বরং লোকচক্ষুর আড়ালে আগের মতোই খালে বালু ও পানি ফেলার কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই খালের ভরাট আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।

পিরতলা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই খাল দিয়েই এলাকার পানি নেমে যায়। খাল ভরাট হলে বর্ষায় দোকানপাটে পানি ঢুকবে। তখন ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি আগে অবগত ছিলাম না। সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়েছি, সামনে থেকে যেন পাইলের পানি ও বালু খালে না ফেলা হয়।

এদিকে এলাকাবাসী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে খালটি রক্ষা পায় এবং ভবিষ্যৎ জনভোগান্তি এড়ানো সম্ভব হয়।