Image description

কক্সবাজারের রামুতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ বাউন্ডলি (সামরিক বাহিনীর পোশাকে ব্যবহৃত অস্ত্রের ম্যাগাজিন বহন ও সংরক্ষণের বেল্ট) উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপসহ তিনজনকে আটক করেছে রামু থানা পুলিশ।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, নাইক্ষংছড়ি সদর ইউনিয়নের কম্বনিয়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে মো. শাহজাহান (২৫), একই ইউনিয়নের আশারতলী গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে মো. ইলিয়াছ এবং একই ইউনিয়নের ঘিলাতলী এলাকার এম. এ. সামাদের ছেলে আতিকুর রহমান (২৫)।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নিশ্চিত করেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।

তিনি জানায়, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর (আরাকান আর্মি) জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি রামু হয়ে নাইক্ষংছড়ির দিকে যাচ্ছিল, এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ২টায় রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে রামু থানা পুলিশ।

এ সময় চেকপোস্ট অতিক্রমকালে একটি মিনি ট্রাক থামার সংকেত দিলে গাড়ির চালক পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে গাড়ি তল্লাশি করে ৩২টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে মোট ১ হাজার ৬০০ পিস বাউন্ডলি (ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার প্রসেস) উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা স্বীকার করেছে, অবৈধপথে এসব বাউন্ডলি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহের উদ্দেশ্যে বহন করছিল।

রামু থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশের জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। 

এ ঘটনায় আটককৃতদের রামু থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।