Image description

নীলফামারীতে আদালতের রায় ও ডিক্রি পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষ কর্তৃক জমি দখলের চেষ্টা এবং প্রায় ৪০০ ফলন্ত কলাগাছ কেটে ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার নীলফামারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি মৌজার ৩২ শতক জমি (বিএস খতিয়ান নং ৬৫৫/১, বিএস দাগ নং ৯০৪৬ ও ৯০৩৯) নিয়ে লিপি রানী সরকারের সাথে একই এলাকার দুলাল চন্দ্র শীল গংদের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। জমির মালিকানা নিয়ে মামলা হলে নীলফামারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ২০২১ সালে (মামলা নং ৬৮/২০২১) লিপি রানী সরকারের পক্ষে রায় ও ডিক্রি প্রদান করেন।

আদালতের রায় পাওয়ার পর লিপি রানী সরকারের পরিবার ওই জমিতে চাষাবাদ শুরু করে এবং প্রায় ৪০০টি কলাগাছ রোপণ করে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিপক্ষ দুলাল চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একদল লোক অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাগানের সব কলাগাছ কেটে ধ্বংস করে দেয়। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

লিপি রানীর ভাই শ্যামল চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে বলেন, “আদালত থেকে রায় পাওয়ার পর আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শে জমিতে চাষাবাদ শুরু করি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আদালতের রায় তোয়াক্কা না করে বলপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে। গাছ কাটার প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীর উপস্থিতিতে দুলাল চন্দ্র শীল, শান্ত শীল, সাগর শীলসহ অন্যরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়।” তিনি আরও জানান, বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ দুলাল চন্দ্র শীল বলেন, “আমি আমার জমি দখল করেছি। লিপি রানীদের সাথে কার্তিক চন্দ্রের জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে, আমার সাথে কোনো মামলা নেই।”

এদিকে লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রব্বানী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানান, এখানে কিছু অভ্যন্তরীণ ব্যাপার রয়েছে, তাই তিনি কথা বলবেন না।

নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, জমি নিয়ে বিরোধ ও গাছ কাটার বিষয়ে দুই পক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।