রাঙ্গুনিয়ায় জনবসতি এলাকা থেকে ডাস্টবিন সরিয়ে নিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুহাম্মদপুরে জনবসতি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় পৌরসভার ডাস্টবিন স্থাপনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মুহাম্মদপুর উত্তর পাড়ায় আয়োজিত এই কর্মসূচি থেকে বর্জ্য ডাম্পিং প্রকল্প দ্রুত জনশূন্য এলাকায় স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, মুহাম্মদপুর এলাকায় প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবারের বসবাস। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌর প্রকৌশলীর যোগসাজশে খতিয়ানভুক্ত ব্যক্তিগত জায়গায় পৌরসভার ডাস্টবিন নির্মাণের জন্য রাস্তা খনন শুরু হয়। বর্তমানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ফেলায় গোটা এলাকা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাস্টবিনের দুর্গন্ধে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। বর্জ্যের পচা গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রবে শিশু ও বৃদ্ধরা নিয়মিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে আবুল বশর হোসাইনী জামে মসজিদ, যেখানে দুর্গন্ধে মুসল্লিদের নামাজ পড়া দায় হয়ে পড়েছে। রিসাইক্লিং ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা পচে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর এই প্রকল্পের প্রতিবাদে পৌর প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জমির উদ্দিন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি এ বিষয়ে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
পৌর প্রশাসক দেব ব্রত দাশ বলেন, "নদীতে ময়লা ফেলার কারণে পৌরসভা ইতোমধ্যে আইনি নোটিশ পেয়েছে। আমাদের কাছে ডাস্টবিন করার মতো বিকল্প কোনো নিজস্ব জায়গা নেই বলেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।" তবে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, "ময়লা ফেলার সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। মুহাম্মদপুরে যদি ডাস্টবিন নির্মাণ করা না যায়, তবে আমরা বিকল্প কোনো উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নতির স্বার্থে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুন্দর সমাধান নিশ্চিত করা হবে।"
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অতিদ্রুত এই ময়লার স্তূপ সরিয়ে না নিলে এবং ডাস্টবিন নির্মাণের কাজ বন্ধ না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তাঁরা এই জনদুর্ভোগ নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।




Comments