চাঁদপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী জালাল উদ্দিনসহ পরিবারের ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী ড. মো. জালাল উদ্দিনসহ তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন- ড. জালাল উদ্দিনের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন, দুই ছেলে সাঈদ মোহাম্মদ রিজভী ও সাঈদ মোহাম্মদ আলভী এবং মেয়ে আয়েশা তাসিনীমা তানিভী।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটরের বক্তব্য এবং দাখিলকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করে তা নিজের ও স্বজনদের নামে ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, ড. জালাল উদ্দিন এই অভিযোগের প্রধান ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধের বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আদালতে দেওয়া দুদকের আবেদনে বলা হয়, ড. জালাল উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। চলমান অনুসন্ধান কার্যক্রম চলাকালে তাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহেও জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই জনস্বার্থে তাঁদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
এদিকে, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন আইনি পদক্ষেপে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, ড. জালাল উদ্দিনের আর্থিক লেনদেনের বিভিন্ন নথি এবং বিদেশে অর্থ পাঠানোর প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজ বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।




Comments