খুলনায় এনসিপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রম শক্তির নেতা মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনায় তনিমা তন্বীকে প্রধান আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। তন্বী খুলনা জেলা জাতীয় যুব শক্তির যুগ্ম সদস্যসচিব। মামলায় তন্বী ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদারের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে সোমবার রাতে নগরীর টুটপাড়া এলাকা থেকে প্রধান আসামি তনিমা তন্বীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত তন্বী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে খুলনা নগরীর আল আকসা মসজিদ সড়কের ‘মুক্তা হাউজ’ নামের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। গত ১ নভেম্বর ওই বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন তনিমা তন্বী। ওই কক্ষেই গুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা, পাঁচটি মদের বোতল, ইয়াবা ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
পুলিশ আরও জানায়, তন্বীর সঙ্গে মোতালেবের আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। কল লিস্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত তিন মাসে তাদের মধ্যে অন্তত ২৭৩ বার কথা হয়েছে। ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ থেকে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




Comments