শ্রীপুরে জাসাস নেতাকে ইট ভাটায় নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে (৪১) মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ২০ ডিসেম্বর ভোর চারটার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কেবিএম ব্রিকস নামের ইট ভাটায় তাকে হত্যা করা হয়।
ফরিদ সরকার গোসিংগা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। সে গোসিংগা ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সস্থা (জাসাস) যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন সরকার জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ফরিদ বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করলে গোসিঙ্গার এবিএম ব্রিকস্ এ যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে আসেন। ফরিদ সরকার সাথে এ বি এম ব্রিকস কারখানায় মাটি সরবরাহ করতো। গোসিংগা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) এবং ফরিদ সরকারের স্বজন (নিকট আত্মীয়) সবুজ মেম্বারের মাধ্যমে জানতে পারেন ফরিদ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এ খবর পেয়ে তিনি ইট ভাটায় এসে দেখেন ফরিদ মাটিতে পড়ে আছেন। তার গায়ে ধাঁরালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত ছিল। পরে তিনি তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কে বি এম ব্রিকসের ম্যানেজার (ব্যব¯’াপক) প্রদীপ সরকার জানান, আমি অফিস কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর ৪ টার দিকে তর্কাতর্কি এবং চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি একটি ছেলে অফিসের সামনে রক্তাক্ত অব¯’ায় পড়ে রয়েছে। ¯’ানীয় মেম্বারকে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানালে ফরিদ সরকারের স্বজনের তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কে বি এম ব্রিকসের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) প্রদীপ সরকার জানান, তিনি অফিস কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে তর্কাতর্কি ও চিৎকারের শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখেন, একটি যুবক অফিসের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ফরিদ সরকারের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে আহত যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহমদ জানান, ইট ভাটায় এক যুবককে হত্যার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে আছি। লোকজনের সাথে কথা বলতেছি। ঘটনার কিছু আলামত পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ইট ভাটার কর্মচারীদের সাথে কথা বলতেছি।




Comments