শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাদারীপুরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার খাগদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার এই অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও সাধারণ চালকরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, শহীদ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে রিকশায় থাকা অবস্থায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে ১৮ ডিসেম্বর সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা শেষে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধিস্থলের পাশে দাফন করা হয়।
বক্তারা আরও জানান, এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে প্রথমে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন, যা হাদির মৃত্যুর পর হত্যা মামলায় (৩০২ ধারা) রূপান্তরিত হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল পরিকল্পনাকারী ও ঘাতকরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। দ্রুত সকল আসামিকে আইনের আওতায় আনা না হলে আগামীতে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যকরী সদস্য ও জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মূখ্য সংগঠক হাফেজ আব্দুর রহিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রোমান শেখ, আশিকুল তামিম আশিক, সাবেক সহ-মূখ্য সংগঠক জহিরুল ইসলাম সানি, সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব তানভীর ও সাবেক সদস্য আরাফাত উল্লাহসহ সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা।
মানবকণ্ঠ/ডিআর




Comments