Image description

বিশ্ববাজারে সোনার দাম ১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ছুঁইছুঁই। ডলারের সামান্য পতন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ঝুঁকি-অফ মনোভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে প্রতি আউন্স ৩,৯৮১.২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে, মার্কিন সোনার ডিসেম্বর ফিউচারের দাম ০.৮% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি আউন্স ৩,৯৯১.৯০ ডলারে পৌঁছেছে।

বিশ্লেষক কার্স্টেন মেন জানান, বিশ্বব্যাপী ইক্যুইটি বাজারের মূল্যায়নে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন, যার ফলে সোনার দাম স্থিতিশীল থেকে বেড়েছে। ইউরোপীয় শেয়ার বাজার দুই সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে এবং ডলার সূচক সামান্য হ্রাস পাওয়ায় সোনার চাহিদা আরও বেড়েছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বুধবার (৫ নভেম্বর) সোনার নতুন এই দাম ঘোষণা করেছে। এর আগে, শনিবার (১ নভেম্বর) বাজুস প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দামে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বৃদ্ধি করেছিল।

বর্তমানে দেশের বাজারে বিভিন্ন ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নিম্নরূপ:

২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা

২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা

১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা

সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম সামান্য কমলেও, বিশ্ববাজারের ঊর্ধ্বগতি এবং স্থানীয় চাহিদার সমন্বয়ে সোনার দাম এখনো বাড়তির দিকে রয়েছে। এই পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।