ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ, নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। যদিও গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্ত হতে কারাগারে বসেই ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন নোবেল, তবুও আইনি প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে।
সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলামনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাদীর আনা ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। নোবেল ওই ছাত্রীকে ডেমরার বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতেন। অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়:
নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে প্রায়ই মারধর করতেন।
মারধর ও নির্যাতনে নোবেলকে আরও কয়েকজন সহায়তা করেছিলেন, তবে তাদের নাম-ঠিকানা এখনও পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে তাদের শনাক্ত করা গেলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর গান রেকর্ডিংয়ের স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান নোবেল। সেখানে তাকে প্রায় ৬ মাস আটকে রাখা হয়। ১৯ মে ভুক্তভোগীর বাবা-মা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন এবং পুলিশ নোবেলকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুন ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন নোবেল। বর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করছেন বলে জানিয়েছেন নোবেলের আইনজীবী মোসতাক আহমেদ।
আইনজীবী বলেন, ‘যেহেতু তারা বিয়ে করে সংসার করছেন, তাই এই অভিযোগপত্রে নোবেলের বড় কোনো সমস্যা হবে না। বিচারিক ট্রাইব্যুনালে বাদী আপসনামা জমা দিলে মামলাটি নিষ্পত্তি হবে এবং আশা করছি নোবেল খালাস পাবেন।’
আগামী ২৮ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হবে। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। নোবেল বর্তমানে এই মামলায় জামিনে রয়েছেন।




Comments