
বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতাসীন হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করতে চান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সেদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বৈঠকের আগে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেছেন ট্রাম্প। সেই ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিগত বাইডেন প্রশাসন যে প্রভাব রেখেছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে-ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও তা অব্যাহত থাকবে কি না।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, “বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমি যদ্দুর শুনেছি, ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিলেন এবং সরাসরি বলতে গেলে, তিনি আরও শত বছর ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। আমি কিছু পড়াশোনাও করেছি এ ব্যাপারে…আমি বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদি) ওপরেই ছেড়ে দিতে চাই।”
এর আগে সর্বশেষ গত অক্টোবরের শেষ দিকে বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করার এক বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।”
Comments