Image description

ভারতের রাজস্থানে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা একটি কফ সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সিরাপ সেবনের পর আরও অন্তত ১০ জন অসুস্থ হয়েছেন। এই ঘটনার পর সিরাপটির নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে, এক চিকিৎসক ও একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক নিজেরাই সেটি খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এনডিটিভির খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শিশুদের মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা

জানা গেছে, রাজস্থানের সিকার জেলায় ৫ বছর বয়সী নিখিল এবং ভরতপুরে ২ বছর বয়সী সম্রাট নামের দুই শিশু কাশির জন্য ওই সিরাপ খাওয়ার পর মারা যায়। নিখিল রাতে সিরাপ খাওয়ার পর ঘুম থেকে আর জাগেনি। অন্যদিকে, সম্রাটের সঙ্গে আরও দুই শিশু একই ওষুধ খেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অচেতন ছিল, যদিও পরে তারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু সম্রাট মারা যায়।

চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের অচেতন হওয়া

অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে, ভরতপুরের বায়ানায় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. তরাচাঁদ যোগী ওষুধের নিরাপত্তা প্রমাণ করার জন্য নিজেই সিরাপটি খেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তার সঙ্গে সিরাপ খাওয়া এক অ্যাম্বুলেন্স চালকও একই পরিণতি ভোগ করেন।

২২ ব্যাচের ওষুধ নিষিদ্ধ ও তদন্ত শুরু

রাজস্থানের বিভিন্ন জেলায় একই সিরাপ খেয়ে আরও বেশ কয়েকটি শিশু অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়ার পর রাজ্য সরকার ২২ ব্যাচের এই ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাস থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার বোতল সিরাপ বিতরণ করা হয়েছে। জয়পুরে মজুত থাকা আরও ৮ হাজার বোতল রোগীদের না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওষুধের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং 'কেসন ফার্মা' নামের কোম্পানির সরবরাহ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।