Image description

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের তেল বাণিজ্য ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সরব হয়েছেন এবং এবার সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘মহাবিপদের’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের ৫০ শতাংশ বাড়তি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় রপ্তানি ৪০ শতাংশের নিচে নেমে এলেও, মোদি সরকার রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দেওয়ায় এই নতুন হুঁশিয়ারি এসেছে।

এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, যদি ভারত রুশ তেল কেনা বন্ধ না করে, তাহলে ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ‘বড় ধরনের শুল্ক’ আরোপ করা হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের কারণে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে একজন সাংবাদিক ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়ার তেলের ব্যাপারটা তিনি আর করবেন না।"

তবে, ভারত সরকার ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করছে বলে জানানো হলে তিনি বলেন, "সেটা আমি জানি না। তারা যদি এটা বলতে চায়, তাহলে বিশাল শুল্ক দিতে হবে।"

ইতিমধ্যে ভারতীয় রপ্তানিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা টেক্সটাইল থেকে শুরু করে ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন খাতে আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রুশ তেল আমদানি বন্ধ না করলে এই শুল্ক বহাল থাকবে, এমনকি আরও বাড়তেও পারে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, মোদির সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে এবং মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়ার তেল আর কেনা হবে না। কিন্তু, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে জানায় যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্প্রতি কোনো ফোনালাপই হয়নি মোদির, যা ট্রাম্পের মিথ্যাচার প্রমাণ করে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে সস্তায় তেল বিক্রি করছে এবং ভারত এখন রাশিয়ার অন্যতম প্রধান তেল ক্রেতা। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারতের এই তেল কেনা ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়াকে সাহায্য করছে, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঘোর আপত্তি জানিয়ে আসছে।