
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় এক ভয়াবহ হামলায় সরকারপন্থী এক মিলিশিয়া নেতাসহ মোট ছয়জনকে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে বন্দুকধারীরা। বুধবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে বৃহস্পতিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির জ্যেষ্ঠ এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, বন্দুকধারীরা প্রথমে ওই মিলিশিয়া নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন। এরপর তাদের গাড়িতে জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ছয়জনের দেহ একেবারে পুড়ে যায়।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। তবে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ওই মিলিশিয়া নেতার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিল। তিনি তা দিতে অস্বীকার করায় প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়।
পাকিস্তান অভিযোগ করে বলেছে, আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার টিটিপি যোদ্ধাদের আশ্রয় এবং সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালানোর অনুমতি দিচ্ছে কাবুল। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।
কাবুলে গত ৯ অক্টোবরের এক বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সৈন্যদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর উভয় দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। সামরিক ওই সংঘাতে দুই দেশে অনেকের প্রাণহানি ঘটে।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সীমান্তজুড়ে পাক নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়। পরে উভয় দেশের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। আগামী শনিবার তুরস্কে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের মাঝে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
Comments