Image description

হারিকেন মেলিসা জ্যামাইকায় ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার ঝড়ের শক্তি নিয়ে আঘাত হানে। জ্যামাইকার উপকূল তছনছ করে সেটি ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার ঝড়ে পরিণত হলেও থেমে থাকেনি। সামনে ধেয়ে গিয়ে হাইতি ও কিউবায় আঘাত হানে। ভয়াবহ সেই হারিকেনে তছনছ হয়ে যায় বহু জনপদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, হাসপাতাল, শিক্ষপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অবকাঠামো। গাছ উপড়ে এবং সড়ক ধসে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এমন পরিস্থিতিতে ‍উদ্ধার কার্যক্রমে হিমশিম খাচ্ছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, হারিকেন মেলিসার তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট। কিন্তু উদ্ধারকাজ চলমান থাকা এবং অনেক স্থানে তথ্য ঘাটতির কারণে মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্যমতে, হাইতিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এ তথ্য জানিয়েছে। কিন্তু এ সংবাদ সংস্থাটিই বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিনের শুরুতে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর প্রচার করেছিল।

তখন হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার স্টিভেন অ্যারিস্টিল এপিকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ উপকূলীয় শহর পেটিট-গোয়াভে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যেখানে আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে।

বুধবার এর আগে পেটিট-গোয়াভের মেয়র জিন বার্ট্রান্ড সুব্রেম এপিকে বলেছিলেন, হারিকেন মেলিসার বন্যায় ওই সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন।

আধুনিক ইতিহাসে দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে এটি একটি। জ্যামাইকান কর্মকর্তারা বলেছেন, ঝড়টি দেশের অবকাঠামোতে কতটা বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তা নির্ধারণের কাজ চলছে। একটি জরুরি ত্রাণ ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। দুর্গতদের দ্রুত সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।