Image description

বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারে পপির চাষ ১০ বছরের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির প্রায় সব চাষযোগ্য অঞ্চলে পপির চাষ বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের (ইউএনওডিসি) সবশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় মিয়ানমারে পপির চাষ ১৭ শতাংশ বেড়েছে। চাষের এলাকা ৪৫,২০০ থেকে বেড়ে ৫৩,১০০ হেক্টর হয়েছে।

আফগানিস্তানে চাষ ক্রমাগতভাবে হ্রাসের পর মায়ানমার এখন বিশ্বের প্রধান অবৈধ আফিম উৎপাদনকারী দেশ হয়ে উঠেছে। 

ইউএনওডিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি ডেলফিন শান্তজ বলেন, চাষের এই ব্যাপক বৃদ্ধি বোঝাচ্ছে, আফিমকেন্দ্রিক অর্থনীতি কতটা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটিতে ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে পপির চাষ বাড়লেও সে তুলনায় আফিম উৎপাদন হয়নি। এই পার্থক্যের কারণ হলো ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা। তীব্র সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে কৃষকদের পক্ষে ফসল রক্ষা এবং আফিম উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়েছে।

পপির ফল থেকে নিসৃত আঠা বা আফিম প্রক্রিয়াজাত করে হেরোইন তৈরি করা হয়। ইউএনওডিসির সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে হেরোইন সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।