Image description

অফিসের দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আর থাকছে না। গুগল এমন এক নতুন ফিচার এনেছে, যার মাধ্যমে কর্মীর ফোনে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট মেসেজ—হোক তা সাধারণ এসএমএস কিংবা অত্যাধুনিক আরসিএস চ্যাট—সবই এখন দেখতে পারবেন নিয়োগদাতা বা বস। এমনকি কোনো মেসেজ এডিট বা ডিলিট করলেও তা রক্ষা পাবে না বসের নজরদারি থেকে।

‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামের এই ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো গুগল মেসেজেসে থার্ড-পার্টি অ্যাপ যুক্ত করে কর্মীদের কথোপকথন সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবে। গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই জানিয়েছেন, আইটি বিভাগ চাইলেই এখন থেকে কর্মীদের মেসেজ আর্কাইভিং বা সংরক্ষণ করতে পারবে।

তবে স্বস্তির খবর হলো, এই নজরদারি কেবল অফিস থেকে দেওয়া বা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত ফোনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তিগত ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলো আপাতত এর আওতার বাইরে থাকছে। এছাড়া নজরদারি চালু থাকলে কর্মীরা ফোনে একটি নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন। মূলত আর্থিক ও স্বাস্থ্য খাতের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে আইনি বাধ্যবাধকতা মানার জন্যই গুগল এই সুবিধা এনেছে।