Image description

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনীর মহিপালে টমটম চালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এ আদেশ দেন।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত হন টমটম চালক মো. সবুজ। এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট নিহতের ভাই মো. ইউছুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক মিয়া জানান, গত ৯ ডিসেম্বর এই মামলায় ১২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে এজাহারনামীয় ৬৫ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত ৫৯ জন রয়েছেন। গত ১২ ডিসেম্বর আদালত এই চার্জশিট পর্যালোচনা করেন।

ফেনী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চার্জশিটভুক্ত ১২৪ জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫৩ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি ৭১ জন আসামি বর্তমানে পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে পরোয়ানার কপি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৫৪ জনের মধ্যে ৭ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তারা এখন পর্যন্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে সংঘটিত সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফেনী মডেল থানায় মোট ২৪টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি সরাসরি হত্যা মামলা এবং ১৭টি হত্যাচেষ্টা ও সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। সবুুুুজ হত্যা মামলায় নিজাম হাজারীসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।