Image description

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুই দফায় ৯ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা এই জবানবন্দি দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি দাউদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনায়েদ আসামি সামিয়া ও ওয়াহিদের এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দীন লিমার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা শরিফ ওসমান হাদির ওপর পেছন থেকে গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং সবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর আদালত এই মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) যুক্ত করার আদেশ দেন।

পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক রোকনুজ্জামান বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জবানবন্দি ও আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৫ ও ২০ ডিসেম্বর দুই দফায় আসামিদের যথাক্রমে পাঁচ ও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।