Image description

যাতা শহরের কোররাত কখনো দাদুর্ণ অস্বাভানিক চাপে শহরটা দিজের ভেতর থেকে একটি নিষ্পেষিত আলো ছড়ায়। সে আলোয় উপরতলার অ্যাপার্টমেন্টের কৃত্রিম জগৎ। বিপরীতে দাঁড়ানো বিল্ডিং-এর বেজমেন্টের সিঁড়ির মুখের অস্পষ্ট কিন্তু কষ্টকর বাস্তবতাকে দেখতে পায় না। সিঁড়িঘরটাও উপরতলার মানুষের অদ্রান্তের কথা জানে না হয়তো। তন্ময় প্রতিদিন। ভোর চারটায় তার পাঁচতলার বারান্দায় কফির মগ নিয়ে দাঁড়ায়, চোখে এক অদ্ভুত শূন্যতা নিয়ে। নিচে, বেজমেন্টের সেই সিঁড়ির গোড়ায়, একটি মানবয়ায়া দেখে। আনেকটা যেন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কোনো ছেটি যান্ত্রিকথানের অবশির অবহেলায় পড়ে আছে। সেই মাননয়ায়াটি প্রতিদিন ঠিক তখনই হাজির এয়, সুইস ঘড়ির মতো নিখুঁত বণটিন মেনে। বুদি, গাঞ্জাবি, প্রতা চশমা- এই থাকতো তার বহিরাবরণ বাড়তি বলতে একটি লাঠি, তার উঠে দাঁড়ানোর আধ পথ এবার এবার সঙ্গী। একটি পুতানা কামাল কখনো হাতে, কখনো কাঁধে দৃশ্যমান হতো। আলো আরও কিছুটা পই হাল যখন চাপা অন্ধকার সার যেতে বাধ্য হয় তখন তন্ময় সেই রায়কে একজন। ভিধিবিতে আবিষ্কার করে যায় নিয়মিত মজুরি নেই, কিন্তু অতোজ নিয়ম মোন ভাবে আদতে হয়। ঢাকা শহর, দ্বিস্তা ভরাত একটি সেই পাওয়া আর তা ধরে রাখতে গেলে অমন কাকডা ভোরে যেতার বৃদ্ধদেরটিকে টেনে নিয়ে আসে।। যেই নাঠিতে ভর করে। অন্বয় তাতে, ওই নিড়িগর যেন দুই পৃথিবীর দীমান্ত, উপরে বায়বিহীন কৃত্রিম বিষাদ, নিচে সামান্য স্বাসটুকু নিয়ে বেঁচে থাকার নিবন্ধর সংগ্রাম।

ভিখারিটি সেখানে একটিলতে আলায় দগত তার বাসার ধরনটিই ডিন এমন, যে কেউ দেখালই ঠাহর করতে পারে তিনি সাহায্য চাইছেন।

ওটিয়টি হয়ে বধার ছোট উপস্থিতি যেন বলতে-আমি এত নিরূপায় অস্তিত্ব। তার এই অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেখার যেমন কেউ থাকে না। কত গত পথচারী পেরিয়ে যায়, একে এড়িয়ে যায়। মায়ে মাঝে কেউ কেউ দু-এক টাকা দেয়। হাত বাড়িয়ে লহায়া চাইলে অনেকেই বিরক্তও হয়। কিন্তু মুহূর্তেই দে আবার স্বাভাবিকভাবে পরের পথিকের সাহায্যের অপেক্ষা করে। কারও অপমান, বিরক্তি ব্য তাচ্ছিল্য নিয়ে ভাষার তার ফুরসত হয় না তার এই আপার স্বাভাবিকতা প্রতাশ পায় এক ধরনের নীরব প্রতিবাদের মতো, সমাজের উপেক্ষার বিরুদ্ধে এক নিরীহ আর নখদন্তহীন। বিদ্রোহ। তোর থেকে সকাল হয়, অলিগনি ওয়ে ওঠে সূর্যের আলোয় কিন্তু সে ঠাঁয় বসে থাকে এক জীবস্ত মূর্তি হয়ে। মূর্তিমান ঐ দুর্বল অস্তিত্ব কোনো কথা না বলেও প্রতিক্ষণ যেনো শহরের বিবেকের বন্ধ দরজায় কড়া নেড়ে যায়।

একদিন এময় এক অস্বস্তিকর অনুভূতি দিয়ে ঘুম থেকে উঠল। সে নিজেও বুঝতে পারল না কেন। সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেল, সেই এক চিলতে মানবমন্ডিত ভিখারির কাছে। তাকে দেখে ভিখিরি স্নান হাসল, যেন বহুদিনের চেনা কাউকে দেখেছে। তিনি হঠাৎ তন্ময়কে জিজ্ঞেস কলে- আপনি কি জানেন? এ শহরের আসল সত্য কোথায় থাকে? তথ্যায় মাথা নাড়িয়ে ২০- স্ন্যাক উত্তর দিল, দুধে কিছু বলল না। তন্ময়ের নিকট থেকে না-সচক উত্তর পেয়ে তিথিতি স্বগতোক্তির যাতা করে বলল- যে সত্য কখনো উপরতলায় থাকে না। সত্য সুমিয়ে থাকে এই মাটিতে, অমকার মুপডি ঘরে। তন্ময় জিজ্ঞেস করল, 'তুমি নী এখানে শুধু ভিক্ষা করতেই অধ্যে প্রতিদিনঃ কয় টাকা পার? তা দিয়ে কী তোমার জীবন চলে? ইত্যাদি ভিখারি উত্তর দিল, অন্যের সাহায্য নিয়েই তো আমাকে চলতে হয়। তাই ভিক্ষা-র জন্য আসি। কিন্তু সেটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য না।

নিজেদেও খুঁজতে আসি। জানতে চাই, আধি জেলায় দাড়ালে আমার অস্তিত্ব টের পাওয়া যাবে জন্মমেক পণ্য ধরে সংস। এই কথায়নো চেন এইতো আনে পাঁচা থেকে বেরিয়ে এায়। যে উৎসদ্ধি করাদ দেও একই প্রশ্ন বয়ল করে বেড়াচ্ছে জোখ্যায় পাঁচমাস যাব আয়ি বাঁজ পাবে। তাত কেন যেন মনে হাস মানুয়টি তারই তেভরের একটি প্রকৃতি নির্ধারিত রূপ যার মধ্য দিয়ে সে খুঁজে চলাকে তার জীবনের

ভিখারির সেই মালা এটিপ্যোচ কবাল। এটি আর ভায়ে শুধু এক টুকরো ভাপড় নয়, এটি তবে বিবিধ যুদ্ধ সংরামের প্রাচীক। একদিন যে প্রমালটি বের করে অক্ষয়্যার্ক দেখাল। এতে ছোপ যোগ মধ্যব্য আর বকের দাগ, যেন একটি মানচিত যেখানে তার যুদ্ধের ইতিহাস অমিত। 'এই প্রথানটা দেখুন,' ডিমারি বলন, 'এটা শুধু কাপড না। এটা আমার যুদ্ধের পতালা। পমর আমাকে প্রতিদিন অপমান করে, কিন্তু এই রুমালটা আমি বুজে দেবি। এটাই আমার জন্য। তথায় জিজ্ঞেস ভবন, কিন্তু তুমি হেয়ে যাওনি কখনো?' উপারি গভীর পুঠিতে তন্ময়ের দিকে তাকাস, 'স্যার, যে মানুষ প্রতিদিন মরতে মরতে বেঁচে থাকে, তাকে হারানো কী এত সহজ। কথাগুলো তন্ময়ের হৃদয়ে কঠিন এক ধাক্কা দিল। সে বুঝতে পারল, এই মানুষটি ভিক্ষা করে না, সে অতুহি করে। এর এই লড়াই গারীরিক নয়, মানসিক; বরগার নয়, আত্মিক। কমলটি ছিল তার আত্মসম্মানের রূপক, যা কোনোদিনই পরুর হাতে সমর্পণ করেনি।

প্রিথিরিং বসার স্থানটিতে তন্ময়ের কাছে আর কেবল একটি ভৌত স্থান মনে হয় না, এটি এক মুহূর্তেই তার কাছে হয়ে ওঠে একজন সংগ্রামী আর আধ্যাত্মিক মানুষের জীবনাখ্যানের মত যার সাথে ইট-কংক্রিটের অবকাঠামো আর বা তার মতো কতজ্ঞদের সাথে বিভাজন তৈরি করে। তাজ মনে হলো- সে যে উপরতলায় থাকে তা তো একটি অন্তর্বর্তী স্থান ছাড়া আর কিছুই নয়। পিঁড়ি দিয়ে বা লিফট দিয়ে উল্লম্বভাবে উপর থেকে শহরের শ্রেণিবিন্যাসকে আরও দৃশ্যমান করে। এই সেই শ্রেণিবিন্যাসকেও প্রশ্ন করে কারণ এখানে সবল ও দুর্বল মুখোমুখি হয়। যারা যোভাবে জীবনের মানে খোঁজে তাদের কাছে সামাজিক রীতিনীতি সাময়িক। জীবনদর্শনের দিক থেকে ভিখারি আর তথাকথিত ধনী বিনিদুভোর গাঁথুনিতে যেন মহাশূনো দুলছে।

এক সকালে ভিখারি এলো না পরিচিত সেই বসার স্থানটি ভরস্কর রকমের খালি খালি লাগছিল। তন্ময় প্রথমবারের মতো অনুভব করল এক গম্ভীর শূন্যতা, যেন শহর তার এক চোখ উপড়ে ফেলেছে। সে ৮৩ নিয়ে নেমে গেল। সেখানে শুধু ভিখারির সেই কমালটি যেন এক নিঃসঙ্গ কবিতা-র মতো পাড় আছে। রুমালের উপর একটা ছেঁড়া জায়গা, রক্তের দাগ এবং এক অদুগ। সংগ্রামের যত্ন নিপিবদ্ধ ছিল। তন্ময় রুমানটি হাতে নিয়ে ভার উপরতলার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরল। সে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিয়ের খাদি সিড়িঘরের দিকে একান। সে বুঝতে পারল ভিখারি ছিল তারই ভেতরের সেই 'আমি' যে অপমান সয়েও টিকে থাকে। সিড়িঘর ছিল সমাজের দেই সীমারেখা, সা মানুষকে বিছজ করে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রদশ্য। আর রুমাল ছিল আত্মসম্মানের প্রতীক, যা যতই মলিন হোক, তা কখনো বিক্রি হয়নি। ভিখারির এই অভধান ছিল এক ধরনের উত্তরণ, একটি গেল প্রস্থান যা ভাব উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করে

কায় এখন সিঁড়িঘরটিকে অন্য চোখে দেখে। এটি এখন আর শুধু কংক্রিটের নির্মাণ নয়, এটি একটি অদশ্য সেতু যা মানুষের হৃদয়কে যুক্ত করে। সে বৃন্দেঝয়ে, উপরতলা ও নিচতলার মধ্যে দূরত্ব পারীরিক নয়, মানসিক। এই সেতু পার হওয়ন কমনো সেই সিঁড়িতে বসে, শুধু বাদে থাকে। সে সাহসই মানুষকে পূর্ণত। দেয়। অসম এখন কমলা। ভিক্ষা করে না, শুধু উপস্থিতি জানান নেয় হয়তো কেউ একজন, উপরতলা থেকে তার দিকে। তাকিয়ে নিজের ভেতরের প্রশ্নগুণ্যের মুখোমুখি হচ্ছে। হয়তো দেও একদিন সামাদ করে নেথে আসছে, এই অদশ্য সেতু পার