
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন খাতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এই শিল্পের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের জন্য তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। 'বিশ্ব পর্যটন দিবস' উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন যে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশগত অবক্ষয় রোধে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও পর্যটন শিল্পের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের ফলে একদিকে আমাদের পর্যটন অঞ্চলগুলোর সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ঘোষিত দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য 'টেকসই উন্নয়নে পর্যটন' যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্য নিদর্শন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং অকৃত্রিম আতিথেয়তা যেকোনো দেশি-বিদেশি পর্যটককে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যটনের এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি জানান, পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চলগুলোর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদের সঠিক ব্যবহার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সম্প্রসারণ, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
Comments