
প্রপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ফরিদপুরের সদরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও গণজমায়েত করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সদরপুর শাখা। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় উপজেলার বেপারী বাড়ির মোড়ে গণজমায়েতের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টারের নেতৃত্বে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি স্টেডিয়াম চত্বর ও সদরপুর থানা অতিক্রম করে সদরপুর প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কর্মসূচিতে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপিত হয়। দাবিগুলো হলো: ১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন। ২. জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু। ৩. নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিতকরণ। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার। ৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ।
গণজমায়েতে বক্তারা বলেন, “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে, যা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ রোধ করবে। পাশাপাশি অতীতের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিচারও নিশ্চিত করতে হবে।” তারা আরও জানান, এই পদ্ধতি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন সদরপুর শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মাওলানা ইসহাক চোকদার, হাফেজ মুহাম্মদ কামাল বেপারী, হাফেজ মোক্তার হোসেন, মাওলানা রবিউল ইসলাম ভাসানী, মাওলানা রেজাউল করিমসহ শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক।
ইসলামী আন্দোলনের নেতারা জানান, তাদের এই দাবিগুলো জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Comments