Image description

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাতিল এবং পাহাড়ে সন্ত্রাস ও অরাজকতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে জাতীয় জোট। বুধবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের চেয়ারম্যান সরদার আব্দুস সালাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, "যুগে যুগে এ দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি নামে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। আজ সেই চুক্তিই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "এই চুক্তিকে পুঁজি করে একটি বিশেষ গোষ্ঠী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করে ছোট ছোট গেরিলা সংগঠন গড়ে তুলেছে। তারা প্রায়ই প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এসব হামলার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তারা পাহাড়কে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।"

সরকারের উদ্দেশে আব্দুস সালাম বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। শান্তি চুক্তি বাতিল করুন, পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করুন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় জোট ও ১৮ কোটি বাঙালি সরকারের পাশে আছে।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন, "ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) প্রায়ই বাংলাদেশের সীমান্তে গুলি চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। সীমান্তে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশের ঘটনাও বাড়ছে, কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান দেখা যায় না।"

সরদার আব্দুস সালাম বলেন, "বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভারতের নৌবাহিনী ও জেলেরা ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এমনকি জেলেদের অপহরণও করে। একইভাবে আরাকান আর্মিও আমাদের সীমানায় অনুপ্রবেশ করে। এসব অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। দেশের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড় দেওয়া হবে না।"

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বাদল প্রমুখ।