Image description

চট্টগ্রামের রাউজানে ১৮ দিনের মাথায় আবারও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এবার দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হয়েছেন মুহাম্মদ আলমগীর আলম (৪৫) নামের যুবদলের এক কর্মী। আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজানের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

যুবদল কর্মী আলমগীর আলম মোটরসাইকেলে পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান মোটরসাইকেলের পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। এ ঘটনায় আলমগীর আলমের আত্মীয় মুহাম্মদ রিয়াদও (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কায়কোবাদ জামে মসজিদের কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমগীরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের পরিচয় জানাতে পারেনি। নিহত আলমগীরের শরীরে ৫ টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে ৭ অক্টোবর উপজেলার বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) রাউজানের খামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাটে চলন্ত গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলায় আরও একটি হত্যার ঘটনা ঘটল।

নিহত আলমগীর আলমের বাড়ি ঢালার মুখ এলাকায়। তিনি আবদুস সত্তারের ছেলে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তিনি একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি জেল থেকে ছাড়া পান।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলমগীর আগে অপরাধজগতে থাকলেও এবার জেল থেকে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন। পূর্বশত্রুতা কিংবা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয় অন্তত শতাধিকবার। ৩৫০ জনের বেশি মানুষ এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন।