পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, নীলফামারীতেই চীন সরকারের উপহার হিসেবে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নীলফামারী সদর উপজেলার দারোয়ানীতে প্রস্তাবিত হাসপাতাল স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চীনারা যেহেতু সম্মতি দিয়েছে, সেহেতু এখানেই (নীলফামারীতে) এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি হবে। প্রকল্প পরিচালক চলতি মাসের মধ্যেই ডিপিপি জমা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি হুট করে একদিনে হয়নি, এর পেছনে দীর্ঘদিনের আলোচনা (নিগোশিয়েশন) ছিল।’

হাসপাতালের জন্য নির্বাচিত স্থানটিকে ‘চমৎকার’ উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সাধারণত যেকোনো বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে গেলে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়, যা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু এখানে সরকারের খাস জমি থাকায় অধিগ্রহণের কোনো প্রয়োজন হয়নি। এটি প্রকল্পের জন্য একটি বড় ইতিবাচক দিক।’

চীনা সূত্রের বরাত দিয়ে উপদেষ্টা জানান, দ্রুতই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শুরু হবে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র এবং গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।