ভারতে অবস্থান করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দিচ্ছেন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন—এমন অভিযোগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে নিয়মিত উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি। তলবকালে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আদালতের দণ্ডের মুখোমুখি করতে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর (প্রত্যর্পণ) আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে সেখান থেকেই বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের মাটি ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধে দেশটির সরকারের জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে ঢাকা।

সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হত্যাচেষ্টার বিষয়টিও তলব নোটিশে গুরুত্ব পায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনরা যাতে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য ভারত সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। ঢাকা স্পষ্ট করে জানায়, অপরাধীরা এরই মধ্যে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে থাকলে তাদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় ভারতের দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত চায় বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে তার দেশ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।