Image description

সাড়ে ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্রায় সাড়ে ৮৭ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার‌্যালয় থেকে এই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত চার্জশিটে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া কামালের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩ টাকার সন্দেহভাজন লেনেদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, আসামিরা বাড়ি নির্মাণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮৫১ টাকার অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করতে পরস্পরকে সহযোগিতা করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা মামলায় কামালের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্ত শেষে সেই অংক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৫৮ লাখ টাকায়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন।