Image description

জুলাই সনদ সই করার দিনে দাবি পূরণে বিক্ষোভে নামা ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে বক্তব্যের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ শনিবার বিএনপি নেতার বক্তব্য শোনার পর তার প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।

মূলত জুলাই জাতীয় সনদে সই না করা এবং গতকালের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল।

সে প্রসঙ্গে কথা বলার পর নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আপনাদের কাছে বলতে চাই, কিছুক্ষণ আগেই আমরা দেখেছি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন সাহেব (সালাহউদ্দিন আহমদ) উনি গতকালকের ঘটনায় জুলাই যোদ্ধা, যারা গতকাল আহত হয়েছে, তাদেরকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুসারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

গতকাল জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে অনুষ্ঠানস্থল সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নিয়েছিলেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে কয়েক শ ব্যক্তি। পরে পুলিশ পিটিয়ে তাঁদের বের করে দেয়। এরপর তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।

আজ সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সালাহউদ্দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যেসব বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়েছি, এটা তদন্তাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছুসংখ্যক ছাত্র নামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে মনে করি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভিন্ন ফাঁকফোকরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। এখানে কোনো সঠিক জুলাই বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কেউ থাকতে পারে না।’

তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ আরও বলেন, ‘তিনি ভুলবশত, হয়তো তাঁর কাছে তথ্য না থাকার কারণে তিনি এ রকমটা বলেছেন। যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন দেশে ছিলেন না। যেহেতু তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দেশে ছিলেন না, রাজপথে ছিলেন না। সেহেতু হয়তো তিনি জানেন না যে কে রাজপথে ছিল, কারা লড়াই করেছিল, কারা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল?’

গতকাল পুলিশের হামলায় আহত ব্যক্তিদের জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়তার কথা তুলে ধরে নাহিদ বলেন, ‘আতিকুল গাজী (আতিকুল ইসলাম) যার হাত কাটা গিয়েছে, তাকে যখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বলা হয়, যখন শহীদ মীর মুগ্ধের বাবাকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বলা হয়, ইয়ামিনের বাবাকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বলা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের, খুবই বেদনাদায়ক।’

ফলে আমাদের আহ্বান থাকবে, তিনি (সালাহউদ্দিন) তাঁর এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করবেন এবং সেই আহত যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারদের কাছে ক্ষমা চাইবেন এবং তাদের সঙ্গে বসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গল্পটা শুনবেন, ইতিহাসটা শুনবেন।’