Image description

চট্টগ্রাম বন্দর ও ডিপোতে কনটেইনার পণ্য পরিবহনে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। চার দিন ধরে চলা প্রাইম মুভার ও লরি ধর্মঘটে জাহাজ থেকে নামানো কনটেইনার ডিপোতে পরিবহন করা যাচ্ছে না। আবার রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ডিপো থেকে গাড়িতে করে বন্দরে আনা যাচ্ছে না। মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা বন্দরমুখী প্রাইম মুভার ও লরিগুলোকে চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। হাতমাইক নিয়ে এসব যানবাহনকে বন্দরে ঢুকতে মানা করছেন তারা। গাড়ি প্রবেশের মাশুল প্রায় চার গুণ করার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছেন।

এদিকে প্রাইম মুভার মালিকদের ট্রেইলার চলাচল না করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা।

বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বন্দর ও ডিপোতে কনটেইনারের সংখ্যা বাড়ছে। এর জন্য আবার জরিমানা গুনতে হবে আমাদের। অথচ বন্দরের কারণে এ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে।

বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, কর্মসূচির কারণে ডিপো থেকে কনটেইনার পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। একইভাবে বন্দর থেকে ডিপোতে আসছে না কনটেইনার। এভাবে চলতে থাকলে আমদানি-রপ্তানি স্থবির হয়ে পড়বে। তৈরি হবে অচলাবস্থা।

ভারী যানবাহন প্রবেশে আগে মাশুল ছিল ৫৭ টাকা। তা প্রায় চার গুণ করে ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এরপর ঘোষণা ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন মালিকেরা। গত ১৫ অক্টোবর থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্ধিত এই মাশুল কার্যকর করে। পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে হঠাৎ করে বন্দর মাশুল বাড়িয়েছে।

প্রাইম মুভার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বন্দর যে বাড়তি মাশুল চাচ্ছে, তা কে দেবেন শ্রমিক, নাকি মালিক– এটি পরিষ্কার হয়নি। এ কারণে ১৪ অক্টোবর রাত থেকে ট্রেইলার চলাচল করছে না। আগে শ্রমিকরা মাশুল দিতেন। এখন তারা দেবেন না বলে জানিয়েছেন। মালিকপক্ষও দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রাইম মুভারের সমস্যা নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি, সমাধান হবে।’