Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো শপথ নিলেন ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম—কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার দুই দিনব্যাপী অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে গত ২ নভেম্বর সারাদেশের রুকনদের (সদস্য) প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি আমির নির্বাচিত হন।

আমিরের শপথের আগে নবনির্বাচিত ২৮৪ জন শুরা সদস্যের মধ্যে ২৮২ জন শপথ বাক্য পাঠ করেন। বাকি দুজন—নায়েবে আমির মজিবুর রহমান ঢাকায় না থাকায় এবং ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের অসুস্থতার কারণে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

জামায়াত আমিরের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। এছাড়াও জামায়াতের জোটসঙ্গী সমমনা আট দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

দলীয় সূত্র মতে, সারাদেশে জামায়াতের ১ লাখ ২১ হাজার রুকন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এই শুরা নির্বাচন করেছেন। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৮০০ জন নারী রুকন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি ৬২০ জন রুকনের বিপরীতে একজন করে মোট ১৯৫ জন পুরুষ এবং প্রতি ৫৬০ জন নারী রুকনের বিপরীতে একজন করে মোট ৯১ জন নারী শুরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবারের অধিবেশনে বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ৩০ জনকে পরবর্তী শুরার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতে নবনির্বাচিত সদস্যরা ভোট দেন। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহছানুল মাহবুব যোবায়ের জানান, ভোট গণনা শেষে শনিবার এর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

গঠনতন্ত্র মোতাবেক, দলের আমির নবনির্বাচিত ৩১৪ জন শুরা সদস্যের এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ আরও ১০৫ জনকে শুরার পরামর্শক্রমে সদস্য হিসেবে মনোনীত করার এখতিয়ার রাখেন।

শনিবার অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্যদের নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত এই সদস্যদের মধ্য থেকেই পরবর্তীতে সেক্রেটারি জেনারেল, নায়েবে আমির, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে মনোনয়ন দেবেন জামায়াত আমির।