বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের পর অর্জিত ভোটাধিকারে জনগণ এবার স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারবে। এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দিকনির্ধারণী নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হবে।’
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) নিজ নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজারে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছি, সংগ্রাম করেছি। ইনশাআল্লাহ, এবার দেশের মানুষ মুক্ত পরিবেশে ভোট দেবে এবং একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বস্বীকৃত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।’
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপির ৩১ দফার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষি কার্ড চালু করা হবে, যার মাধ্যমে কৃষকরা সহজ শর্তে ঋণ ও ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ পাবেন। সবার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য কার্ড এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহে ফ্যামিলি কার্ড প্রবর্তন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ লাখ থেকে এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় আনা হবে।’
বেকারত্ব দূরীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত ‘খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিই হবে বিএনপির প্রধান অঙ্গীকার। ক্ষমতায় গেলে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এক কোটি যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।’
স্থানীয় পেকুয়া মহেশখালীর লবণ শিল্পের সংকট নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অন্যায্য লবণ আমদানির কারণে স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই আমদানি বন্ধে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব।’ এছাড়া কুতুবদিয়া-মহেশখালী এলাকায় নির্মীয়মাণ বন্দর প্রকল্পটি আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে তিনি মগনামার রঙ্গীনখালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ, পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন, যুবদলের আহ্বায়ক কামরান জাদিদ মুকুট, সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এহসান উল্লাহ, কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রনিসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।




Comments