সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়ে দেশকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছিল : জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়ে দেশকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছিল। ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব ম্যারাথনের পূর্ববর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে হাতে তসবি ও মাথায় ঘোমটা দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। তিনি বরেন, গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীনতার পর একটি পরিবার, একটি গোষ্ঠী এবং একটি দলকে সুবিধা দিতে সব রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছিল। দলটি সোনার বাংলা গড়ার ওয়াদা করে শ্মশান বাংলা তৈরি করেছিল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। কিন্তু অতীতের বস্তাপচা সব রাজনীতিকে আমরা পায়ের নীচে চেপে সমাপ্তি টানতে চাই। নতুন বাংলাদেশের নতুন ধারায় রাজনীতি শুরু করতে চাই।
সমাবেশে তিনি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বের ওপর জোর দেন। যে কোনও প্রতিরোধ মোকাবিলা করে তরুণদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে তারুণ্যের বিজয় প্রত্যাশা করেন জামায়াত আমির।
এ সময় তিনি বস্তাপচা ও পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।
জামায়াত আমির বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা আমাদের দলীয় বিজয় চাই না, চাই ১৮ কোটি মানুষের বিজয়। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতির নতুন মোড়ক উন্মোচন হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে তা জনগণ প্রতিরোধ করে নিঃশেষ করে দেবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনও আনুকূল্য চাই না, কিন্তু কোনও দলকে যদি কমিশন আনুকূল্য দেয়ার চেষ্টা করে, তবে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে৷
পরে জামায়াতে ইসলামী যুব শাখার আয়োজনে ম্যারাথনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, কাঁটাবন, মিরপুর রোড হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।




Comments