Image description

দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি নিজেই এ ঘোষণা দিয়েছেন। তার দেশে ফেরার খবরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি তিনি যে ফ্লাইটে ফিরবেন, তার সফরসঙ্গী হতে ওই ফ্লাইটের টিকিট কাটার হিড়িক পড়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে।

লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় ২৫ ডিসেম্বর সকালে তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন। ওই ফ্লাইটে তার সঙ্গে বিএনপির অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী থাকবেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে ফ্লাইটের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে দেশে ফেরার সময় লন্ডনের বিমানবন্দরে ভিড় না করার জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারেক রহমান। বিজয় দিবসের আলোচনায় তিনি বলেন, “আগামী ২৫ তারিখে ইনশাআল্লাহ আমি দেশে চলে যাচ্ছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে কেউ সেদিন এয়ারপোর্টে যাবেন না। কারণ, এয়ারপোর্টে ভিড় করলে হট্টগোল তৈরি হতে পারে, যাতে দেশের ও দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।”

তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে গুলশানে তার বাসভবন ও কার্যালয়ে সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে, গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়ির দেয়ালে নতুন রঙ করা হয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ বক্স। বাড়ির ছোট গেট বদলে বড় গেট লাগানো হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, বাসভবনটি প্রায় প্রস্তুত। কোনো কারণে পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি পাশেই মা বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় উঠতে পারেন। দেশে ফিরে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অফিস করবেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের সঙ্গে তার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও দেশে ফিরছেন। এর আগে তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ঢাকায় এসেছেন।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তারেক রহমান। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন।