Image description

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

দলীয় সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখানে সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা শেষে তারেক রহমান সরাসরি সড়কপথে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তাঁর চিকিৎসাধীন মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে।

বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে প্রায় এক ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থানের পর সন্ধ্যা নাগাদ তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে যাবেন। দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই ডুপ্লেক্স বাড়িটিই হবে তারেক রহমানের স্থায়ী বাসভবন। এই বাড়ির পাশেই ‘ফিরোজা’ ভবনে থাকছেন বেগম খালেদা জিয়া।

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স’ (সিএসএফ) সমন্বয় করে কাজ করবে। সরকারিভাবে তাঁকে এসএসএফ প্রটোকল সুবিধা দেওয়া হতে পারে। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিমানবন্দর ও সমাবেশস্থলসহ পুরো এলাকা সিসিটিভি এবং ড্রোন নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’ থেকে শুরু করে পূর্বাচল এবং গুলশান পর্যন্ত পুরো রুটটিকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে।