বিএনপি-জামায়াত চক্র পাকিস্তান কমিউনিটির সহায়তা নিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলসে আমাদের মিশনের সামনে একটি বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানিরা যোগ দিয়েছিল। বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেটি আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। একইভাবে আমাদের বিভিন্ন মিশনের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে বিএনপি-জামায়াত চক্র পাকিস্তান কমিউনিটির সহায়তা নিয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশে কর্মরত কূটনীতিকদের ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মেট্রোরেল, সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতো জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল তাদের কয়েক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডাটা সেন্টার। কিন্তু রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ও বৃষ্টির কারণে ধারণার চেয়েও অনেক বেশি সময় লেগেছে। সেজন্য তাদের মিরপুরের মেট্রোরেলের ধ্বংসযজ্ঞ দেখিয়েছি। সেখানে যেভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনকি ফুটওভার ব্রিজও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেতু ভবনে যেভাবে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, সেখানে ১২ তলা পর্যন্ত আগুন দিয়েছে। সাততলা পর্যন্ত তারা উঠে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিটিভি হচ্ছে টেলিভিশনের আতুরঘর। আজ যারা টেলিভিশন চ্যানেলগুলো চালায় তাদের অনেকের হাতেখড়ি হয়েছে বিটিভিতে। এই অঞ্চলের প্রথম টিভি চ্যানেল বিটিভি। ১৯৬৪ সালে এটি স্থাপিত হয়। তখন এটি বাংলা ভাষার প্রথম চ্যানেল, ভারতে তখনও টেলিভিশন চ্যানেল হয়নি। সেখানে যেভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং কী পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ, সারি সারি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেতু ভবনেও একই অবস্থা। মেট্রোরেলের পাশের গাড়িগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো রাষ্ট্রের ওপর হামলা। এগুলো জনগণের সম্পত্তি, এগুলো কোনো সম্পত্তি নয়। তাদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তাণ্ডবকেও হার মানিয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কিন্তু আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল জ্বালিয়ে দেয়নি, কিন্তু তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে তারা একই কায়দায় মানুষের সম্পত্তি পুড়িয়েছে, রাষ্ট্রের সম্পত্তি পুড়িয়েছে। ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে।
ড. হাছান বলেন, আজ কূটনীতিকরা যাওয়ার পর অনেকেই বলেছেন ‘দিস ইজ শেম’। অনেকেই আমার কাছে তাদের অনুভূতি শেয়ার করেছেন, সবাই বলেছে ‘উই আর উইথ ইউ, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি’। তোমাদের এটি ‘ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি’।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সবার কাছে নোট পাঠিয়েছিলাম যে এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এটি নিয়ে যেন বিদেশি দূতাবাসগুলো বা কূটনীতিকরা গণমাধ্যমে কোনো বিবৃতি না পাঠায়। তাদের রাষ্ট্রীয় পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে এবং তারা সেটি মেনে চলেছে। আজ সেজন্য গণমাধ্যমকে সেখানে ডাকিনি। তারাও গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি। তারা এটি মেনে চলেছেন। অতীতে এ ধরনের কিছু ঘটলেই আমাদের কূটনীতিকদের উদ্বুদ্ধ করা হতো কথা বলার জন্য। এবার আপনারা (গণমাধ্যম) করেননি সেজন্য আপনাদেরও ধন্যবাদ জানাই।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments