Image description

কানপুর টেস্টের প্রথম তিন দিনই ছিল প্রাণহীন। চতুর্থ দিন থেকে জমে উঠে ম্যাচটি। নিজেদের প্রথম ইনিংস ভারত সাজায় টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। এতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৩ রান ছাপিয়ে ৫২ রানের লিডও পেয়ে যায় ভারত।

ওই দিনই গ্রিনে পার্কে ৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আর পঞ্চম দিন এসে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এতে মাত্র ৯৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছে ভারত।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। দিনের তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন মাত্র ২ রানে।

এরপর সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৫৫ রানের দারুণ জুটি করে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের ২৮তম ওভারে দলীয় ৯১ রানের মাথায় রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৭ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

দলীয় ২ রান যোগ করতেই আউট হয়ে যান ফিফটি করা সাদমান। ২৯তম ওভারে আকাশ দীপের বলে যসস্বি জয়সওয়ালের হাতে গালিতে ক্যাচ হন তিনি। ১০১ বলে ৫০ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন সাদমান।

ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে লিটন দাসকে (৮ বলে ১) তুলে নেন জাদেজা। ডানহাতি ব্যাটারকে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতে ক্যাচ বানান ভারতীয় স্পিনার।

এরপর আকাশ দীপের ওভারকে স্যান্ডউইচ বানিয়ে পরের আবার বোলিংয়ে আসেন জাদেজা। ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাকিব আল হাসানকে (২ বলে ০) নিজের হাতের ক্যাচ বানান তিনি। অর্থাৎ ৩ উইকেটে ৯১ রান করা বাংলাদেশের ৯৪ রানে নেই ৭ উইকেট।

টিকে থাকতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ১৭ বলে ৯ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে পান্তের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর তাইজুল ইসলামকে (১৩ বলে ০) এলবিডব্লিউ করেন বুমরাহ।

দশম উইকেটে ১৬ রানের জুটি করেন মুশফিকুর রহিম ও খালেদ আহমেদ। বুমরাহর বলে ৬৩ বলে ৩৭ রান করে মুশফিক বোল্ড হলে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি