
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাকিম চত্বরে অবস্থিত জাকিরের দোকানে (মাঝখানের দোকান) মরা ও পচা মুরগির হালিম বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দোকানটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া, শহীদুল্লাহ হলের সেলিমের দোকানেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জাকিরের দোকানে হালিম খেতে গিয়ে মুরগির মাংস থেকে দুর্গন্ধ পান। জিয়া হল সংসদের ভিপি মাহবুব তালুকদার শিক্ষার্থী সংসদ-২ এ অভিযোগ করে লিখেন, “আমরা কয়েকজন হালিম খেতে গিয়ে মুরগি থেকে গন্ধ পাই। দোকানের পরিচালক জাকির ভাইকে দেখালে তিনি হালিম বিক্রি বন্ধ রাখেন।” তিনি আরও জানান, গন্ধের বিষয়টি জানানোর পর জাকির তাৎক্ষণিকভাবে হালিম ড্রেনে ফেলে দেন, যাতে খাবারটি ল্যাবে পরীক্ষা করা না যায়।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও সিকিউরিটি অফিসারকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানটি বন্ধ করে দেয়। মাহবুব তালুকদার আরও জানান, একই দিন সকালে শহীদুল্লাহ হলের সেলিম ভাইয়ের দোকানেও মরা মুরগির মাংস পাওয়া গেছে। জাকির ও সেলিম উভয়েই স্বীকার করেছেন, তারা আনন্দবাজারের (তাহের, রিপন) থেকে ফ্রিজিং মুরগি সংগ্রহ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এ বিষয়ে বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছে। আগামীকাল মুরগির স্যাম্পল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ থাকবে।”
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ক্যাম্পাসের খাবারের দোকানগুলোতে নিয়মিত তদারকির দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
Comments