প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচনী আসনের যেকোনো কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সেই আসনের ভোট সম্পূর্ণ স্থগিত করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে আয়োজিত সংলাপ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রোববার নির্বাচন ভবনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সংলাপে সিইসি এই মন্তব্য করেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন আরও জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আইনে পোস্টাল ব্যালটের কথা থাকলেও এর প্রয়োগ ছিল না, কিন্তু বর্তমান কমিশন এ বিষয়ে কাজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, পূর্বে নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ভোট দিতে পারতেন না। তবে এবার নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১০ লাখ মানুষও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

অপরদিকে, সংলাপে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করাই ইসির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও নারী সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং আহত জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এই সংলাপ প্রক্রিয়া শেষ হবে।