Image description

এ বছর রসায়নে যে তিন বিজ্ঞানী নোবেল পেলেন তাদের একজন ওমর এম ইয়াঘি। বুধবার সুইডেনের স্টকহোমে পুরস্কারজয়ীদের নাম ঘোষণার পর এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন জর্ডান-আমেরিকান এই বিজ্ঞানী। 

ধাতব-জৈব কাঠামো বা ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস’ তৈরির জন্য এম ইয়াঘির সঙ্গে নোবেল পাওয়া বাকি দুজন হলেন, জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুসুম কিতাগাওয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্ড রবসন। 

ওমর ইয়াঘি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বার্কলি) অধ্যাপক। পুরস্কার ঘোষণার পর নোবেল ফাউন্ডেশনকে তিনি সাক্ষাৎকার দেন। বলেন, আমি খুবই সাধারণ একটি পরিবারে বড় হয়েছি। আমরা একটি ছোট ঘরে ডজনখানেক মানুষ থাকতাম। এমনকি আমাদের গবাদিপশুগুলোও একই ঘরে থাকতো। 

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এম ইয়াঘির জন্ম ১৯৬৫ সালে জর্ডানের আম্মানে। জর্ডানে তাঁর পরিবার ছিল ফিলিস্তিনি শরণার্থী। ইয়াঘি জানান, তাদের ঘরে বিদ্যুৎ বা পানি সরবরাহ কিছুই ছিল না। তাঁর বাবা ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন, আর মা পড়তে বা লিখতে জানতেন না। ১৫ বছর বয়সে বাবার পরামর্শে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানী বলেন, সমতা আনার জন্য বিজ্ঞানই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি। মেধাবী, প্রতিভাবান, দক্ষ মানুষ পৃথিবীর সব জায়গাতেই আছে। তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত।

স্মৃতিচারণ করে ওমর ইয়াঘি বলেন, স্বাধীন গবেষক হিসেবে যখন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কাজ শুরু করি তখন আমার স্বপ্ন ছিল অন্তত একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করা যেটি অন্তত ১০০টি সাইটেশন বা তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার হবে। কিন্তু আমাদের গবেষণা আড়াই লাখ সাইটেশন অর্জন করেছে।