
রাজধানীসহ সারা দেশে স্বর্ণের দোকানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে শুধু ঢাকাতেই চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় ১ হাজার ৫৬৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের প্রতি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি।
গত ৮ অক্টোবর গভীর রাতে রাজধানীর মৌচাকের ফরচুন শপিংমলে একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মুখ ঢেকে এবং কালো বোরকা পরিহিত দুই ব্যক্তি দোকান থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করছে। এর আগে, ৫ অক্টোবর যাত্রাবাড়ীর একটি জুয়েলারি দোকানে প্রায় ১২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ পৌনে তিন লাখ টাকা চুরি করে দুর্বৃত্তরা।
ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকার ৫০টি থানায় বছরের প্রথম সাত মাসে ডাকাতির মামলা দায়ের হয়েছে ৭৮টি এবং চুরির মামলা ৩৩৪০টি। শুধু ঢাকাতেই নয়, গত এক মাসে সারা দেশে অন্তত ২০টি স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, “সম্প্রতি জুয়েলারি দোকানগুলোতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি জুয়েলারি দোকানসমূহ অবস্থিত মার্কেটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন।”
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, “গত সাত মাসে দেড় হাজারের বেশি চুরি-ডাকাতির মামলা দায়ের হয়েছে। এসব ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে। সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে মার্কেটের অভ্যন্তরীণ কেউ জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
নিরাপত্তা বাড়াতে জুয়েলারি সমিতি পুলিশের কাছে আরও কঠোর পদক্ষেপ এবং নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, সিসিটিভি, নিরাপত্তা প্রহরী এবং পুলিশি টহল জোরদার করা হলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসতে পারে।
Comments