Image description

আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা প্রধানদের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গেছে, যদিও ইসলামাবাদ এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

খামা প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, আফগান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ, গোয়েন্দা প্রধান আসিম মালিক এবং দুই সিনিয়র সামরিক জেনারেলের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। 

সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলটি গত তিন দিন ধরে আনুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য কাবুল সফরের অনুমতি চেয়েছিল এবং ইসলামাবাদে তালেবান দূতাবাসে তাদের পাসপোর্ট জমা দিয়েছিল। আফগানিস্তানের পাকটিকা প্রদেশে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়।

কাবুলের কর্মকর্তারা ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পদক্ষেপকে বারবার সীমান্ত লঙ্ঘন এবং বেসামরিক এলাকায় হামলার প্রতি দৃঢ় কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কাবুলের অভিযোগ, পাকিস্তান আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। 

অন্যদিকে, পাকিস্তানের একজন সিনিয়র সরকারি সূত্র আনুষ্ঠানিক ভিসার অনুরোধের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, সফরের ধারণাটি কেবল একটি 'প্রস্তাব' ছিল, কোনো আনুষ্ঠানিক আবেদন নয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, সাম্প্রতিক হামলাগুলো সীমান্তবর্তী জেলাগুলোকে অস্থিতিশীল এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে চাপের মুখে ফেলেছে।

সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষের পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমবর্ধমানভাবে অবনতি ঘটেছে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বিরোধটি দুই রাজধানীর মধ্যে যোগাযোগের বৃহত্তর ভাঙনের প্রতিফলন ঘটায়, যেখানে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক চাপের মধ্যে উভয় সরকারই তাদের অবস্থান কঠোর করছে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রত্যাখ্যান ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে অবিশ্বাসকে তুলে ধরেছে, যেখানে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার এবং ডুরান্ড লাইন বরাবর অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছে। 

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে নতুন করে কূটনৈতিক সংলাপ না হলে চলমান শত্রুতা আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য, মানবিক সহায়তা এবং আঞ্চলিক শান্তির উদ্দেশ্যে বৃহত্তর প্রচেষ্টাকে বিপন্ন করতে পারে।