
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে মোট আট দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দিয়েছে বিভিন্ন বাহিনী। পূর্বে পাঁচ দিন মোতায়েনের পরিকল্পনা থাকলেও, এই নতুন প্রস্তাবনাটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক-প্রস্তুতিমূলক আইনশৃঙ্খলা বৈঠক শেষে ইসি সচিব এই তথ্য জানান। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন: জাতীয় নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। আনসার বাহিনীর পাঁচ লাখ বা তার কিছু বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে, যা সর্বোচ্চ সংখ্যক।
নির্বাচনী পরিবেশ: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে কোনো শঙ্কা প্রকাশ করেননি এবং কোনো উদ্বেগ জানাননি।
বাজেট ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা: নিরাপত্তা পরিকল্পনার অনেক কিছুই নির্বাচনের বাজেটের ওপর নির্ভর করবে। বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি পরে চূড়ান্ত করা হবে।
এআই ও ড্রোন ব্যবহার: নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ করা হবে এবং ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। পুলিশের জন্য বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা: সশস্ত্র বাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের’ অধীন নাকি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আরপিও সংশোধন হয়ে এলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আট দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমেছিল এবং যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত পাঁচ দিন সময় নিয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোট ১০ দিন মাঠে ছিল।
Comments