Image description

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, মেডিকেল ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মুখে ও মাথায় কালো কাপড় বেঁধে শাহবাগে মৌন মিছিল করবেন তারা। এছাড়া জেলা ও উপজেলা সদরে শিক্ষকরা একই কর্মসূচি পালন করবেন।

সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নবম দিনের মতো অবস্থান ও মহাসমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি। তিনি বলেন, “আমাদের আন্দোলন এখন আমরণ অনশনে রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে চারজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। যদি এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো প্রাণহানি ঘটে, তার দায় শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারকে নিতে হবে।”

অধ্যক্ষ আজীজি শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আবরারের কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। তাকে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবেও মানি না। তিনি যদি আমাদের দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করেন, তাহলে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়তে হবে। আমরা তার অফিসে লং মার্চ করে তালা দেব।”

তিনি আরও ঘোষণা দেন, “যারা শহীদ মিনারে আসতে পারছেন না, তারা প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা সদরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।”

শিক্ষকরা তিন দফা দাবি—বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, মেডিকেল ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি—মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না। এছাড়া সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

রোববার (১৯ অক্টোবর) শিক্ষাভবন অভিমুখে ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়লে শিক্ষকরা আমরণ অনশন ও সর্বাত্মক কর্মবিরতির ডাক দেন। সোমবার অর্থ বিভাগ বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

শিক্ষকদের এই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি, গণ অধিকার পরিষদ, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাত্মতা প্রকাশ করেছে। শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, তিন দফা দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শাহবাগে মাথায় ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে। জেলা ও উপজেলা সদরেও একই সময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে। শিক্ষকরা সরকারের কাছে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।